এম.এ ইসলাম:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সেচ কাজে সফলতার সাথে এক দশক পার করছে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে সোলার সেচ প্রকল্প। উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের পোগইল গ্রামে গ্রীণ হাউজিং অ্যান্ড এনার্জি লি. এর তত্ত্বাবধানে ৭টি সোলার সেচ যন্ত্র বসিয়ে প্রায় সাড়ে ৬শ’ বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ প্রকল্প। বিদ্যুৎবিহীন প্রত্যন্ত পোগইল গ্রামে ২০১২ সালে প্রথম বোরো-ইরি চাষে সেচ শুরু। সেই থেকে টানা ১০টি বছর তারা কৃষকদের পাশে থেকে সাশ্রয়ী রেটে জমিতে সেচ দিয়ে আসছে। চলতি মওসুমে কৃষকদের দিতে হচ্ছে শতক প্রতি ৫০ টাকা। আমাদের কথা হয় পোগইল গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম ও কোম্পানির টেকনিশিয়ান তরঙ্গ রায়ের সাথে।
কৃষক আমিরুল ইসলাম একটি সেচ যন্ত্রের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানান, সেচ কাজে বিদ্যুতের বিভ্রাট নেই। স্বাচ্ছন্দে সেচ দেওয়া যায়। কৃষকরাও এ ব্যবস্থায় বেশ খুশি। একসময় এ এলাকায় বিদ্যুৎ আসবে এটা আমরা কল্পনাও করতে পারি নি। তখন আমাদের পাশে সহযোগিতা করে গ্রীণ হাউজিং অ্যান্ড এনার্জি লি.। তাদের সহযোগিতায় এ এলাকায় পরপর ৭টি সেচযন্ত্র স্থাপন করেন তারা।
এ বিষয়ে চলতি সেচ মওসুমে এই ৭টি সেচযন্ত্র দেখভালের টেকনিশিয়ান পদে দায়িত্বে থাকা তরঙ্গ রায় জানান, বগুড়া-নন্দীগ্রাম জোনের আওতায় আমাদের কোম্পানি এখানে পরপর ৭টি সেচযন্ত্র স্থাপন করে সফলতার সাথে সেচ কাজ পরিচালনা করে আসছে। মওসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বড় কোন ধরনের অসুবিধায় পড়তে হয়নি এখানকার কৃষকদের।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সেচ এলাকায় সমিতি গঠন করে তাদের দ্বারা আমরা এটা পরিচালনা করি। একটি সেচযন্ত্র দ্বারা প্রায় চারশ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া যায়।