আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ:
ড্রাইভারকে জিম্মি করে বাস ডাকাতির ঘটনার অন্যতম আসামী সেই শাকিল মিয়া (২৩)কে গ্রেফতার করেছে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
বুধবার (১৩ জুলাই) মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিপর চকনদী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোস্তার ছেলে। তাকে গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ সেরাজুল হক, এএসআই আমিরুল ইসলাম সহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা। তার বিরুদ্ধে সাদুল্লাপুর থানায় গত ২০ আগস্ট ২০২১ সালে বাস ডাকাতি মামলা নং ২০ রুজু রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ডিপজল পরিবহনের একটি বাস ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে রংপুর অভিমুখে যাত্রা করে। পথে বাইপাইল ও জিরানি এলাকা থেকে যাত্রীছদ্মবেশে ডাকাতদলের ৭ জন বাসে ওঠে। বাসটি বগুড়ায় পৌঁছিলে ডাকাতদলের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অদূরে একবারপুর নামক স্থানে যাত্রী-সাধারণের সবকিছু লুটে নিয়ে নেমে যায়। এঘটনায় গোটা জেলাজুড়ে সমালোচনা সৃষ্টি করায় বেশকয়েক জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাদুল্লাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয় ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হক’কে।
পরে তদন্তকালে পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালে ১১ জন আটক করে। এদের মধ্যে ৬ জন বাস ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর ফলে ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত শাকিল মিয়াকে গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসন ধারাবাহিকভাবে ১১ মাসে ৯টি অভিযান পরিচালনা করে। সচতুর শাকিল ঘন ঘন তা অবস্থান পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেফতার সম্ভব হয় না। সবশেষ ১৩ জুলাই তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হক সাপ্তাহিক খোলাহাওয়া পত্রিকা’কে জানান, ডাকাতি মামলাটির তদন্তভার পাওয়ার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতার করতে একের পর এক অভিযান চালিয়ে আসছি। সর্বশেষ আসামি শাকিল মিয়াকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমনে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলের একান্ত সহযোগিতা কাম্য।