স্টাফ রিপোর্টার:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জুন) বিকেলে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি বসত বাড়িতে নকল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরী হচ্ছে এমন খবরে কয়েকজন সাংবাদিক ওই বাড়িতে যায়। এসময় কারখানার মালিক আহসান হাবীব ওরফে চপল প্রথমে সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে তাদের কারখানার বাইরে এনে মারর করে বলে মামলা সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনার শিকার সাংবাদিকরা জানান, কারখানায় কর্মরত কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মুখ ঢেকে একে একে পালিয়ে যেতে থাকে। এতে নকল প্রসাধনী তৈরীর বিষয়টি সাংবাদিদের সত্য মনে হলে তারা কারখানার ভিতরে ঢুকে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। সেখানে লাভানা লেবেল লাগানো বডি লোশন, ফর্সাকারী ক্রীম, স্পট ক্রীম, নীম সাবান এবং ডার্মা প্লাস লেবেল লাগানো হ্যান্ড ওয়াশ, রং ফর্সাকারী ক্রীম সহ অন্যান্য লেবেলে তেল প্যাকেটজাত করতে দেখা যায়। তবে এ কারখানায় কোনো ল্যাবরেটরি বা ল্যাবে কর্মরত কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির দেখা পাওয়া যায়নি।
এ সময় কারখানার মালিক কারখানার দরজা বন্ধ করে সাংবাদিকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ও মারতে উদ্যত হয়। পরে সাংবাদিকরা কারখানার বাইরে এলে সেখানে ডেইলী সান পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ইয়াসির আরাফাতকে লাঞ্ছিত করে।
এ ঘটনায় উপজেলার সকল সাংবাদিকদের মাঝে চমর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে দিবাগত রাতে সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত বাদী হয়ে প্রসাধনী কারখানার মালিক আহসান হাবীব ওরফে চপল সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দাখিল করে।
কর্তব্যরত সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জেলার সকল সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা অবিলম্বে ওই প্রসাধনী কারখানার মালিক আহসান হাবীব ওরফে চপলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান।