খোলা হাওয়া ডেস্ক:
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের যা যা আছে আর যা যা নেই তার ফিরিস্তি জানা গেল নির্বাচনী হলফনামায়। ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) জমা দেয়া মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামায় তিনি নিজের যাবতীয় সম্পত্তি এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরেছেন।
সেই সূত্রে জানা যায়, টানা মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও এই আর্থিক বছরে তাঁর পাঁচ লাখ টাকা আয় বেড়েছে। যা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭০ টাকা থেকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৫ টাকায়। এর আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের পূর্বের হলফনামায় তাঁর আয় ছিল ৯ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা।
বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ব্যাংকে জমা রয়েছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৫১২ টাকা। এছাড়া অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২৯ টাকা। এর মধ্যেই রয়েছে ৯ গ্রাম ৭০০ মিলিগ্রাম অলঙ্কার।
এর বাহিরে তার নামে নেই কোনো বাড়ি, আবাদযোগ্য কোনো জমি এমনকি পৈতৃক সম্পত্তিও। এছাড়াও তাঁর নামে নেই কোনো বকেয়া কর বা ঋণও। বারবার মসনদে বসে পশ্চিমবঙ্গ শাসন করলেও সম্পদ বা সম্পত্তি বলতে ওটুকুই।
সর্বশেষ নির্বাচনে নিজ আসনে পরাজিত হলেও তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ফলে এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হতে হবে তাঁকে। ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা এ নির্বাচনে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে বিজেপি আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের নাম ঘোষণা করেছে। বিজেপির প্রস্তাব ছিল মিঠুন চক্রবর্তীসহ ভিআইপি অনেক নেতাকে। কিন্তু তারা কেউ রাজি না হওয়ায় প্রিয়াঙ্কাকেই প্রার্থী করল বিজেপি।