স্টাফ রিপোর্টার:
গাইবান্ধা জেলার সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জের ২৩টি ইউনিয়নের ৯৬টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে জেলার ১১১টি প্রাথমিক ও ১৫টি মাধ্যমিক সহ ১২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্যাকবলিত হওয়ায় এসব এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে। পানি বিপদসীমার নিচে থাকায় তীব্র ভাঙনের মুখে তিস্তা ও করতোয়া নদী এলাকা।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকাল ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ১২ এবং ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অপর দুটি তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার নিচে রয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জের ৯৬টি গ্রামের ৪৭ হাজার ৫৬৩ জন মানুষ পানিবন্দী হলেও ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪৫ হাজার ৫৮৪ জন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ চলমান রয়েছে। আরও বরাদ্দের চাহিদপত্র পাঠানো হয়েছে।
জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যাকবলিত ৪ উপজেলার ১১১টি প্রাথমিক ও ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি ওঠায় পাঠদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অপরদিকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন্যা কবলিত ৪ উপজেলার ১ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির ফসল পানি নিমজ্জিত হলেও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা যায়নি।
বন্যাকবলিত এলাকার জনস্বাস্থ্য রক্ষা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ১০৫টি মেডিকেল টিম গঠন করে দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা দেয়ার শুরু করেছে বলে জানা গেছে।