বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু
খাদেমুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া থেকে:
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বন্ধ থাকা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারে আর বাঁধা থাকল না।
সোমবার( ২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কয়েকজন বাংলাদেশী যাত্রী এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন। তবে, রবিবার থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপারের কথা থাকলেও ভারতের ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কর্তৃপক্ষ কোন চিঠি না পাওয়ায় ওইদিন কোন যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ ১০টি স্থলবন্দর দিয়ে উভয় দেশের যাত্রী পারাপারের বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১৬ সেপ্টেম্বর ৫টি এবং ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাবান্ধাসহ আরও ৫টি স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপারের অনুমতি দেয়া হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দির্ঘদিন পর লোক পারাপার চালু হওয়ায় রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও চিকিৎসা নিতে যাওয়া যাত্রীরা খুব সহজে ভারতের শিলিগুড়ি, দার্জ্জিলিং, নেপাল ও ভুটানে যেতে পারছেন।
এ প্রসঙ্গে পঞ্চগড়ের ফরহাদ হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, এতোদিন অনেক ঘুরপথে বেনাপোল অথবা ঢাকা থেকে বিমানে ভারতের শিলিগুড়ি, কোলকাতা চেন্নাই যেতে গিয়ে অনেক সময় ও অর্থও খরচ হতো। এখন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে খুব সহজেই ভারতে প্রবেশ করা যাচ্ছে। এতে সময় ও অর্থ খরচ কম হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম রেজা বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আমাদের অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। এই বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন খুলে দেয়ায় আমরা খুবই উপকৃত হলাম।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম। বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দির্ঘদিন এই স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশী যাত্রী পারপার বন্ধ ছিল। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এই চেকপোষ্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৪ জন বাংলাদেশী যাত্রী ভারতে প্রবেশ করেছে বলে তিনি জানান। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান কুদরতি খুদা মিলন এ খবরটি নিশ্চিত করেছেন।