তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :
পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) রাতে বুড়াবুড়ি ইউপির চেয়ারম্যান তারেক হোসেনের দ্বারা ’দৈনিক সময়ের আলো ও অনলাইন বার্তাবাজার ডটকম’ এর সাংবাদিক আল আমিন লাঞ্ছিত হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তিনি এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে চুরির অপবাদ দিয়ে সাংবাদিক আল আমিনের বড় ভাই আলমগীর হোসেনকে চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশের দ্বারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মনিকো গুচ্ছগ্রামের এক গোপন ঘরে অবরুদ্ধ করে। পরে স্থানীয় লোকজনের বিষয়টি জানাজানি হলে প্রায় ৮ ঘন্টা অবরুদ্ধ থেকে বের করে তাকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকেন চেয়ারম্যান।
খবর পেয়ে সাংবাদিক আল আমিন তার ভাইকে সেখান থেকে উদ্ধার করতে গেলে তার উপর চড়াও হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান তারেক হোসেন। পরে চেয়ারম্যানের হুকুমে গ্রাম পুলিশ দেলোয়ার হোসেন ও রওশন বেধরক মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন সাংবাদিককে। এ পর্যায়ে সাংবাদিক ও তার ভাইকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে ফেলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন চেয়ারম্যান তারেক হোসেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আল আমিন জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার ভাইকে চুরির অপবাদে আটকে রাখার খবর পাই। আমি চেয়ারম্যানের বাড়িতে উপস্থিত হতেই আমার উপর চড়াও হয় চেয়ারম্যান। গ্রাম পুলিশকে দিয়ে আমাকে রশি দিয়ে বাঁধার হুকুম দেয়।
চেয়ারম্যানের হাতে সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়টিকে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রেসক্লাব, জার্নালিস্ট ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলো। সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান তারেক হোসেন জানান, ওই সাংবাদিকের বড় ভাইকে চুরির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। কিন্তু সাংবাদিক আল আমিন আমার উপর উত্তেজিত হয়ে আমার ও আমার ইউনিয়নের গ্রামবাসির বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। এতে গ্রাম পুলিশ দ্বারা মারধরের শিকার হতে পারেন। তবে তিনি খুবই উদ্ধ্যত আচরণ করার কারণে চড়-থাপ্পর দিয়ে শাসন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, এ প্রসঙ্গে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।