জেলাজুড়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত ও মামলা-হামলায় হয়রানি বাড়ছে!
এম. এ ইসলাম:
গাইবান্ধা জেলাজুড়ে আশঙ্কাজনকহারে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত ও মামলা-হামলায় হয়রানির ঘটনা বেড়েই চলেছে। জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, পলাশবাড়ী, সাদুল্যাপুর ও গোবিন্দগঞ্জে তা নেহাৎ কম নয়। সম্প্রতি গোবিন্দগঞ্জে একটি রাস্তার কাজের অনিয়ম নিয়ে মানবজমিন এবং এর আগে সমকাল পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জেরে ঠিকাদার ও তার লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে সমকালের প্রতিনিধি মো. এনামুল হক। গত রবিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভবনের ইঞ্জিনিয়ার অফিসে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তাকে মারপিট করে ভবনের বাহিরে এনে চরম লাঞ্ছিত করা হয়।
অপরদিকে গেল সপ্তাহে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় মাছরাঙা টিভি ও মানবজমিন পত্রিকার গাইবান্ধা সদরের সিদ্দিক আলম দয়াল, আনন্দ টিভির মিলন খন্দকার ও বাংলাদেশ সমাচারের রবিন সেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার প্রতিবাদে গাইবান্ধা সদরে শনিবার এবং শুক্রবার পলাশবাড়ীতে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে। স্মরণযোগ্য বিভিন্ন সময়ে মামলা, হামলায় লাঞ্ছিতদের দীর্ঘ লাইনে রয়েছে গাইবান্ধা সদরের মফিজুল হক তারা, রেজাউল, দীপক, আফতাব, আতিক, জাভেদ, সুমন ও সুন্দরগঞ্জের মামুন, খোকন। পলাশবাড়ীতে রয়েছেন রতন, আশরাফুল, রুবেল, আমিনুল এবং সাদুল্লাপুরে পিয়ারুল, জিল্লুর, আ. কাফি। গোবিন্দগঞ্জের মরহুম নিজাম উদ্দিন, রনজু, সুইটি, মান্নান, মোজাম্মেল হক, মোয়াজ্জেম, এনামুল হক, সুমন, জিল্লু, রেজাউল, সাজু, মানিক, উজ্জ্বল, আরাফাত, সাগর, বাবু, শাহীন প্রমুখরা সহ ফুলছড়ির ভবতোষ রায় মনা এবং সাঘাটার মিজানুর রহমান। জেলার সিংহভাগ সিনিয়র ও জুনিয়র গণমাধ্যমকর্মীরা কখনও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়; কখনবা খোদ সরকারের কর্মকর্তাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছে। যা বন্ধে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন এখন সময়ের দাবি। জয় হোক গণমাধ্যমকর্মীদের।
(বি: দ্র: সংবাদটি সাপ্তাহিক খোলা হাওয়া পত্রিকার ১৮তম বর্ষের ১৫তম সংখ্যায় (রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২ প্রকাশিত)