স্টাফ রিপোর্টার:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জগদীশপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুটি পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন ইবরার ছেলে সাদেক আলী (৪৫), জমির উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (৩২), সায়েদের ছেলে মাহাবুল (৩৬), আমির হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০) ও প্রতিপক্ষের কাইয়ুম তালুকদারের ছেলে আ. মতিন তালুকদার (৫০)।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার জগদিশপুর গ্রামে পরিকল্পিত এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে আবেদা বেগম ও মজনু মিয়া বাদী হয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ থানায় জমা দিয়েছে।
সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। নির্বাচনে একই ওয়ার্ড থেকে ইউপি সদস্য পদে এমদাদুল হককে পরাজিত করে মজনু মিয়া জয়ী হয়। ঘটনার দিন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। এর আগে ঈদুল ফিতরের ১০ কেজি চালের একটি স্লিপ জয়ী মজনু মিয়া পরাজিত এমদাদুল হকের মায়ের নামে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এক পর্যায়ে মজনু বাহিনী আক্রমণাত্মক হয়ে অদূরে এমদাদুলের বাড়ির সামনে এসে অবস্থান নেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও মারপিট শুরু হয়। এসময় এমদাদুলের পক্ষের চার জন এবং মজনুর বড় ভাই গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে ইউপি সদস্য মজনুর বড় ভাই আ. মতিনকে বগুড়ায় এবং সাদেক আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঘটনার সময় এমদাদুলের বাড়ির কয়েকটি ঘরের বেড়া ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে এমদাদুলের প্রতিবেশিরা জানান, মজনু মেম্বার সামাজিকভাবে হেয় করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমদাদুলের মায়ের নামে একটি ১০কেজি চালের স্লিপ পাঠিয়ে দেয় এবং সংঘবদ্ধভাবে বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে মারামারি শুরু হয়। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মজনু বাহিনী একাধিক ব্যক্তিকে মারপিটে আহত করার পাশাপাশি বসতবাড়ির বেড়া ভাংচুর করে।
অপরদিকে মোবাইল ফোনে ইউপি সদস্য মজনু মিয়া জানান, আমি পরিষদ থেকে চাল বিতরণ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা আমাকে ধাওয়া করে। দ্রুত আমি মোটরসাইকেল নিয়ে আমার বাড়ির সীমনায় পৌঁছিলে আমার বড় ভাই সহ প্রতিবেশিরা এমদাদুলের এলাকায় যায়। সেখানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে আমার বড় ভাই আহত হয়। বর্তমানে সে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দিন জানান, জগদীশপুরে মারামারির ঘটনায় দুটি অভিযোগ থানায় জমা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।