স্টাফ রিপোর্টার:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চারটি পারিবারিক মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্ত আরিফুল ইসলামকে এলাকাবাসী আটক করে জরুরি সেবা (৯৯৯) এর মাধ্যমে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভার মেয়র ও পুলিশ প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত পূজা মন্দির সংস্কারে ৪০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের দামোদরপুর গ্রামে। এ গ্রামের যাদব চন্দ্র সিং, গৌতম চন্দ্র সিং, দেবেন্দ্র নাথ সিং ও কাঞ্চন চন্দ নন্দীর পারিবারিক মন্দিরের চারটি মূর্তি ভেঙ্গে ফেলে আরিফুল ইসলাম (২৫)। আরিফুল ওই ইউপির কাপাসিয়া গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে। এলাকাবাসী তাকে আটক করে জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে রাতেই গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের লোকজন ঘুমিয়ে গেলে আরিফুল ধারালো ছুরি হাতে একের পর এক মন্দিরগুলোেতে ঢুকে মূর্তিগুলো ভাংচুর করে। তাকে হাতে-নাতে আটক করে ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। তারা এ ঘটনায় আটক আরিফুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে আজ সকালে মন্দিরের মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস আলী বাদু ও গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইজার উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এছাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তাজু এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। দেশে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টাকারীদের কঠোর হস্তে দমনের আশ্বাস দেন। পরে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পূজা মÐপের উন্নয়নের জন্য ১০ হাজার করে নগদ ৪০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা প্রদান করে।