1

কাগুজে ডাক্তারে ভয়ঙ্কর চিকিৎসা সেবা

এম.এ ইসলাম:

কাগুজে ডাক্তার দ্বারা ভয়ঙ্কর চিকিৎসা সেবা চলমান রয়েছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র-উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি হাসপাতাল ছাড়াও এ উপজেলায় প্রায় ৪৬টি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার রয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বে-সরকারিভাবে গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীদের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। উপজেলা সদরের একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাথে পাল্লা দিয়ে বে-সরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেনটারগুলো দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকছে। ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার পাশাপাশি দিন-রাত ধরেই ক্লিনিকগুলোতে চলে কাটা-ছেড়া। ক্লিনিকগুলোতে ধার করা সার্জন দ্বারা অপারেশন করলেও অপারেশনে আবশ্যক অজ্ঞানকারী ডাক্তার অধিকাংশ সময়ই থাকেন অনুপস্থিত। নয়ত গুলি-ব্যাগি-সেণ্টার খেলায় পারদর্শী সার্জন বা হাতুড়ে ব্যক্তিরাই করেন সেই কাজ।

বে-সরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক নীতিমালা অনুযায়ী আবশ্যক আবাসিক ডাক্তার ও বৈধ সনদধারী নার্স পাওয়া বেশ মুশকিল। অপারেশন পরবর্তী ভূতের চিকিৎসা সেবায় অজান্তেই সন্তুষ্ট সেবা গ্রহনকারীরা।

অপরদিকে ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলোতে নেই বৈধ সনদধারী টেকনোলজিস্ট। মালিকদের সংগ্রহে বৈধ সনদধারীর কাগজপত্র থাকলেও সরেজমিনে পাওয়া দুঃস্কর ওই ব্যক্তিকে। এজন্য কোথাও গলাকাটা আবার কোথাও সাশ্রয়ী দরে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে টাকা। তাই বলাই যায়-কাগুজে ডাক্তারে চলছে ভয়ঙ্কর চিকিৎসা সেবা।

ওপার বাংলার জনপ্রিয় নচিকেতার কণ্ঠে গাওয়া সেই বিখ্যাত গান স্মরণযোগ্য- ‘ও ডাক্তার; তুমি কত শত পাশ করে এসেছ বিলেত ঘুরে মানুষের যন্ত্রণা ভোলাতে; তোমার এমবিএস না-না-এফআরসিএস বোধহয় এ-টু-জেড ডিগ্রি ঝোলাতে; ডাক্তার মানে সে তো মানুষ নয়; আমাদের চোখে সে তো ভগবান; কসাই আর ডাক্তার একই তো নয়-কিন্তু দুটোই আজ প্রফেশন। কসাই জবাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে-তোমার আছে ক্লিনিক্যাল চেম্বার; ও ডাক্তার..’

সে যাই হোক আসি কাগুজে ডাক্তারে ভয়ঙ্কর চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলোর প্রসঙ্গ। প্রথমেই ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। যেখানে আবশ্যকীয় বিষয়গুলোর মধ্যে একটি আদর্শ ভবন, ডাক্তার, ডিপ্লোমাধারী ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট, গুণগত মান সম্পন্ন উপকরণ ও যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন অন্যতম। এসব একত্র করতে না পারায় ডায়াগনোস্টিক মালিকদের ‘চাল বাড়ন্ত’ অবস্থা। তার পরেও থেমে নেই সেবা প্রদান। একাধিক ডায়াগনোস্টিক সেণ্টার এ উপজেলায় অবৈধভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যাদের টেস্ট রিফার্ড করা ডাক্তার বা দালাল ছাড়া আর কারোর কাছে পায় না গ্রহণযোগ্যতা। এমনিভাবে রোগীর কাছ থেকে ভাগিয়ে নেয়া কমিশন-দালালি ঠিকই ভাগ-বাটোয়ারা চলছে। অনুরূপ অবস্থা নিবন্ধন আছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোরও।

পক্ষান্তরে হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলে আবশ্যকীয় প্রমাণ মেলা বেশ ভার। ক্লিনিক পরিচালনাকারী একজন পেশাদার ব্যবসায়ী আছেন; কিন্তু নেই অনেক কিছুই। যেনো ‘ঢাল নেই, তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার’। হাসপাতাল বা ক্লিনিকের জন্য আবশ্যকীয় একটি আদর্শ ভবন, নূন্যতম আবাসিক ডাক্তার, ডিপ্লোমাধারী ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডিপ্লোমাধারী নার্স, ওটির জন্য দোতালা ভবন, গুণগত মান সম্পন্ন উপকরণ-যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর; এগুলোর অর্ধেকও নেই এক তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠানের। কোথাও আবার কাগজ রয়েছে; নেই কাগজে থাকা সেই ডাক্তার ও নার্স। আবাসিক ডাক্তার প্রসঙ্গে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। বেশিরভাগ হাসপাতাল/ক্লিনিকেও নেই আবাসিক ডাক্তার। এমন অবস্থায় ক্লিনিক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গালগল্প থামিয়ে কাগজপত্র ও ডাক্তারকে দেখতে চাইলেই ‘গরম ভাতে বিড়াল বেজার’ অবস্থা।

উপজেলায় সেবা, রাদিয়া, খন্দকার, আল শিফা, সততা, জহুরা মাতৃসদনের নিবন্ধন থাকলেও সেবার মান নিয়ে অনেক সময়ই প্রশ্ন ওঠে। কোথাও অপারেশন টেবিলেই প্রাণ হারাচ্ছে রোগী, অনেকেই সেবা নিয়ে পরবর্তীতে পঙ্গুত্ব বরণ করছে; কোথাও গুলি-বেগি-সেন্টার খেলায় পারদর্শী সার্জন দিয়ে অপারেশন করিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে টাকা। (এর সরল অর্থ- একজন ডাক্তারই রোগীকে অজ্ঞান সহ কাটাছেড়া- সেলাই করে সবার টাকা একত্রে নিয়ে যাচ্ছেন। ভুলেও ওই রোগীকে আর একদিনও দেখছেন না।) হাতে গোনা দু’একটি প্রতিষ্ঠান এসবের ব্যতিক্রম; তারা কিছু কিছু ঠিক রেখে চলার চেষ্টা করছেন।

মুঠোফোনে কথা বললে রাদিয়া জেনারেল হাসপাতালের মালিক শামসুজ্জোহা জানান, এখানে আবাসিকে কোনো ডাক্তার থাকে না। সরকারি চাকরিরত ডা. মজিদুল ইসলাম, সাইফুজ্জামান সাঈদ, সুবিথ তালুকদার ও আশিক ইকবাল ‘অন কলে’ এসে অপারেশন এবং রোগী দেখেন।

আল শিফা হাসপাতালের পলাশ জানান, সার্জন মোমিনুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ডা. হাবিবুর রহমান সরকার (সার্বক্ষণিক), সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডা. ফরহাদ আকন্দ ও মুশিউর রহমান সাদিক অন কলে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

খন্দকার ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিকের ছেলে রোমান মুঠোফোনে জানান, আবাসিক কোনো ডাক্তার নেই। অন কলে ডা. শাহজাহান (অব.) এখানে আসেন। এছাড়া ডিপ্লোমাধারী সানজিদা ও রাজিব চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।

গোবিন্দগঞ্জ কমিউনিটি হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার আহসান হাবীব সাংবাদিক পরিচয় শোনার পর ফোন কেটে দেন।

হীরক ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মোস্তাকিম বিল্লাহ জানান, ডা. আসাদুজ্জামান বর্তমানে বিদেশ, সানজিদা পারভীন আসেন না, অন কলে ডা. মজিদুল ইসলাম, কবীর তালুকদার, জাকারিয়া শিলা চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
সিটি জেনারেল হাসপাতালের আতিক জানান, আবাসিক কোনো ডাক্তার নেই। অন কলে ডা. মজিদুল, সুবিথ, রাশেদ আলম (সেকমো) এখানে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।

সেবা ক্লিনিকের জিয়া মুঠো ফোনে জানান, পরিচালক আবু সায়েম জুয়েল এর ভাই ডা. শাহারুল ইসলাম সপ্তাহে দু’দিন চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। আবাসিকে ডা. শহিদুল ইসলাম আগে থাকলেও এখন আর থাকেন না। অন কলে ডা. শাহজাহান, মশিউর রহমান সাদিক, ডা. রিফাত হাসান বাপ্পি, ওয়ারেসুন্নাহার জেসমিন নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

জনতা ক্লিনিকের পরিচালক পরিচয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, আবাসিকে কোনো ডাক্তার থাকেন না। তবে অন কলে ডা. মজিদুল ইসলাম, ডা. সুবিথ ও তৌহিদা ইয়াসমিন চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।

জহুরা মাতৃসদনের পরিচালক রাসেল কবিরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আবাসিক সার্জন ডাক্তার মাশকুরা বিনতে কবির (উপমা), আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আতিকুর রহমান (আতিক) সার্বক্ষণিক আমাদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন। ডিপ্লোধারী একাধিক নার্স ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। প্রয়োজনে অন কলে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

আবুল কালাম কমিউনিটি হাসপাতালের মালিক ফোনে জানান, আমাদের হাসপাতালের কার্যক্রম অনেক আগেই বন্ধ করা হয়েছে। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া গ্রহণ সামপে আগামীতে গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরে এটা চালুর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

সামগ্রিক বিবেচনায় উপজেলায় চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো তাদের লাইসেন্সে উল্লেখিত নির্দিষ্ট বেড সংখ্যার অনেক বেশি বেডে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। আর মুর্মূর্ষু রোগীর জীবন নির্ভর করছে অন কলে ডাক্তার আসার অপেক্ষায়। যা দেখভালে সংশ্লিষ্ট কর্তারা জেগে ঘুমিয়ে না থেকে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি?

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৯ মে এক অভিযানে এ উপজেলায় ৬টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সময়ের ব্যবধানে সেগুলোর কয়েকটি এখন চালু হয়েছে কেউবা জেলা কার্যালয় থেকে অনুমতি নিয়েছে আবার কেউ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন পাঠিয়েছে ; নয়ত বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠান।

আমাদের প্রতিনিধি মুঠোফোনে সাদিক হেলথ কেয়ার, ডক্টরস, শামিমা, মদিনা এক্সরে, হেলথ সিটি, মুনমুন, সু-স্বাস্থ্য, লাভলী, লাইফ, একতা, লাইফ কেয়ার, বাগদা স্বাস্থ্যসেবা ডায়াগনোস্টিক সেণ্টারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে তাদের অনেকেই জানান, সম্প্রতি তারা লাইসেন্স বা নিবন্ধন কাগজ পেয়েছেন। এমন অবস্থা আবেদনকৃত হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোর। তবে অনেকেই স্বীকার করেছেন তারা এখনও নিবন্ধন/লাইসেন্স পান নি। অনেকেই ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স পেলেও পাননি এক্সরে লাইসেন্স। কেউ ৫০ কেভি সনদ দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন ১০০ কেভির কাজ। কেউ এক্সরে মেশিন আর ওটি বসিয়েছেন টিনসেড ঘরে-ভবনের নিচতলায়। কেউবা আবার ক্লিনিক-ডায়াগনোস্টিক-এক্সরে একসাথে চালালেও রয়েছে একটি বা দুটির বৈধতা।

বে-সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় যখন হ-য-ব-র-ল অবস্থা; তখন খোদ সরকারি স্বাস্থ্য সেবা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। বিশেষ করে আউডডোর সেবা ও জরুরি সেবায় দালালদের দৌরাত্ব দেখা যায়। আউডডোর ও ডায়াগনোস্টিক সেবা সকাল ৯ থেকে দুপুর ১টার পর বন্ধ হয়ে গেলে ওই দালালরা বিভিন্ন টেস্ট করাতে রোগীদের তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য করাচ্ছে। যেখান থেকে তারা লাভ করে কমিশন।

সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে প্রায়ই পল্লী চিকিৎসকদের সেবা প্রদান করতে দেখা যায়। এদের মধ্যে মিলন, মারুফ, শামীম ও রুশা বেশ জনপ্রিয়। ডাক্তারদের সহযোগী হাত হিসেবে এরা রোগীদের নির্দিষ্ট ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে টেস্ট করাতে নিজেরাই স্লিপ লেখে দিয়ে বাধ্য করে থাকে। বিনা পয়সায় সরকারি হাসপাতালে সেবা কাজে জড়িয়ে নির্দিষ্ট ডায়াগনোস্টিক সেন্টার কখনও বা ক্লিনিকগুলোতে রোগী ভর্তি করিয়ে নিয়ে থাকেন দালালি-কমিশন। যা বন্ধ হওয়া আবশ্যক।

এমন অ-সামজস্যতায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন, সরকারি হাসপাতালে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে আমি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এছাড়া হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা রোস্টার ভুক্ত সময়ে কোথাও অনকলে গেলে আমি কঠিন ব্যবস্থা নেব।

গোবিন্দগঞ্জে অধিকাংশ ক্লিনিক বা হাসপাতালগুলোর আবাসিক ডাক্তার প্রসঙ্গে গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আ. ম. আকতারুজ্জামান বলেন, ক্লিনিকগুলো নিবন্ধন পেতে ডাক্তারদের নাম দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করেন। তারপরেও ক্লিনিক-হাসপাতালগুলোতে অনকলে নয়; অবশ্যই আবাসিক ডাক্তার থাকতে হবে। সার্বিক অ-ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে জানান, এমন অব্যবস্থাপনা কাম্য নয়; তবে দ্রুত সময়ে পরিদর্শনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেষটায় আবারও নচিকেতার সুরে বলতে চাই- সরকারি হাসপাতালে চাকরি করে-সেখানকার পরিবেশ নষ্ট করে ‘অন কলে’ নার্সিং হোমে চিকিৎসা দেওয়ার মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। গোবিন্দগঞ্জে স্বাস্থ্য সেবায় সকল অনিয়ম আর অ-ব্যবস্থাপনা দূর করে মানবিক সেবা অব্যাহত থাকবে এমনটাই কামনা। ‘একদিন ঝড় থেমে যাবে; পৃথিবী আবার শান্ত হবে। বসতি আবার উঠবে গড়ে; আকাশ আলোয় উঠবে ভরে; জীর্ণ মতবাদ সব ইতিহাস হবে…।’