অধিগ্রহণে চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন
নিজ জমি বেদখল : অন্যের জমিতে ঘর
এম. এ ইসলাম:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি মহাসড়ক সম্প্রসারণে ভূমি অধিগ্রহণে চলে গেছে। সে অনুযায়ী সাসেক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছে। তারা দ্রুত পাঠদান কার্যক্রম অন্যত্র স্থানান্তরের তাগাদা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সঠিক স্থান নির্বাচন না করে অদৃশ্য কারণে অন্যের জমিতে ঘর নির্মাণ করতে যাওয়ায় বেশ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এতে করে অল্পদিনের মধ্যেই পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় অভিভাবকরা।
সরেজমিনে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে কথা বললে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের নিজ নামে চার দাগে ৪০ শতক জমি ছিল। এর মধ্যে দলিলে ভুলের কারণে ১০ শতক জমি পূর্বের মালিকরা ভোগ করলেও অবশিষ্ট ৩০ শতক জমি এখনও রয়েছে। বিদ্যালয়ের বর্তমান পাঠদান করার ভবনটির পুরো জমিই মহাসড়ক সম্প্রসারণে অধিগ্রহণে চলে যায়। অন্যত্র আরও দুটি ১০ শতকের প্লট রয়েছে। যার একটি মহাসড়ক সংলগ্ন তালতলা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটক। আর অপরটি মূল দাতাদের বসতবাড়ির দখলে থাকলেও কিছু অংশ মহাসড়কের অধিগ্রহণের চলে যায়। যার ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দখলদার দাতা ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিবাদমান রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক ফারিজ জহুরুল আলম আরও জানান, প্রাক প্রাথমিক, স্লিপ ও রুটিন বরাদ্দের টাকায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি অন্যের জমিতে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ শুরু করেন। শুরুতে কেউ বাধা না দিলেও সম্প্রতি ওই জমির ওয়ারিশরা নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছে। বর্তমানে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীর পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক আবু তাহের প্রধান জানান, স্কুলের নিজস্ব জায়গায় ঘর নির্মাণ করলে এমন বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পাওয়া যেত। এছাড়া মহাসড়ক সংলগ্ন নিজেদের জায়গায় ভবন করলে তা দৃষ্টিনন্দন হত।
স্থানীয় অভিভাকদের চাওয়া, দ্রুত উপজেলা-জেলা-অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ সঠিক সিদ্ধান্তে পাঠদানের স্থায়ী সমাধান করবেন।